শ্রেষ্ঠ কিশোরগল্প

লেখক : মঈনুল আহসান সাবের

ক্যাটেগরি : শিশু-কিশোর বই
In Stock
৳২২৪ ২০% Off ৳২৮০
বেশি বিক্রিত বই
আমি হতে চাই  (সিরিজ ৬ খণ্ড)
আমি হতে.... ড. উম্মে....
৳৫১০
প্ল্যানেট বাবুল্যান্ড
প্ল্যানেট বাবুল্যান্ড শামা মেহনাজ....
৳৩২০ ৳৪০০
ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতি
ঘরে বসে.... মুনজেরিন শহীদ
৳৬০০ ৳৭৫০

বড়দের জন্য লেখা মঈনুল আহসান সাবেরের গল্পগুলো সাম্প্রতিক বাংলা সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য সংযোজন। কিন্তু ছোটদের জন্য তিনি যখন লেখেন, তখন তাঁর লেখাগুলো কেমন? ঐ যে- বাংলা সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য সংযোজন, এ কথাটা তাঁর ছোটদের জন্য লেখাগুলোর ক্ষেত্রেও খাটে। যেমন তাঁর ‘লিলিপুটরা বড় হবে’ কিংবা ‘সবচেয়ে সুন্দর’ বই দুটো বাংলা সাহিত্যে চিরকালের জন্য জায়গা করে নিয়েছে। 'তিন সাংবাদিক ভূত’-এর গল্প তিনটাই উল্লেখযোগ্য, আলাদাভাবে এটুকু জোর দিয়ে বলা যায়, ঐ বইয়ে অন্তর্ভুক্ত ‘হিমাংশু ও মুন্নার গল্প’র মতো আর একটি গল্পও বাংলা সাহিত্যে লেখা হয়নি। অল্প বয়সে লেখা প্রথমদিককার গল্পগুলো ছাড়া, তিনি ক্রমশ আশ্চর্যরকম পরিণত। অসাধারণ তাঁর বিষয় নির্বাচন। এ দেশে শিশু-কিশোরদের জন্য ভূত-প্রেত, গোয়েন্দা আর অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি এবং সায়েন্স ফিকশনের নামে সায়েন্স ফ্যান্টাসি যা ভূত-প্রেত বা রূপকথারই রকমফের- এসব লেখা হয় রাশি রাশি। এর বিপরীতে মঈনুল আহসান সাবেরের অভিনবত্ব- তাঁর লেখা কিশোর সাহিত্যের ভিন্নধারার কথা মনে করিয়ে দেয়, আমাদের কিশোর সাহিত্যের জন্য নতুন ধারার দিক নির্দেশ করে। এক আলোচক তাই ‘সবচেয়ে সুন্দর’ সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের কিশোর সাহিত্যকে একেবারেই ভিন্নতর প্রেক্ষিতে নিয়ে গেলেন লেখক। ...বইটি আমাদের কিশোরদের ভাবনা ও মনোজগতকে নতুনভাবে নির্মাণ করবে।’ তাঁর ‘লিলিপুটরা বড় হবে’ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘এ দেশের সাহিত্যে এ বই মাইলস্টোন হয়ে থাকবে।’ পৃথিবীখ্যাত এক লেখকের কথা আছে: আমরা যে মজার গল্পগুলোর দিকে যত বেশিক্ষণ ধরে যত বেশি যত্ন নিয়ে তাকাই, সেগুলো ততই দুঃখের হয়ে ধরা পড়ে। ‘তিন সাংবাদিক ভূত’ সম্পর্কে লিখতে গিয়ে সমালোচক ঐ প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, ‘সাবেরের তিন সাংবাদিক ভূতও তেমন মজার গল্প, যা আমাদের যত না হাসায়, তারো চেয়ে বেশি কাঁদায়।’ সাবেরের সাম্প্রতিক সময়ের লেখাগুলোর বাইরে অন্য যে দুটো বই, তার একটি ‘আগামীদিনের গল্প’ হচ্ছে সমালোচকের ভাষায় ‘একটি সমাজমনস্ক বৈজ্ঞানিক দলিল’ আর ‘লালবাড়ির অদ্ভূত ভূত’ বইটির গল্পগুলো ‘কখনো প্রতীকী, কখনো মজার’। তবে এসব মন্তব্যের চেয়ে অনেক বেশি জরুরি হচ্ছেÑ সাবেরের লেখাগুলো পড়ে নিয়ে নিজেই যাচাই করা। মঈনুল আহসান সাবেরের ভাষা গতিময়, ঝরঝরে এবং বিষয়োপযোগী। উপস্থাপনা স্বচ্ছ। তাঁর লেখা যেমন কিশোরদের নিয়ে কিশোরদের জন্য, তাদের চেতনার জীবনমুখী বিকাশের জন্য তেমনি বয়স্ক মননের জন্যও। তাঁর শ্রেষ্ঠ কিশোরগল্প সববয়সি পাঠকের কাছে প্রিয় হবে।

মঈনুল আহসান সাবের

লেখকের জীবনী

মঈনুল আহসান সাবের

জন্ম ২৬ মে, ঢাকা শহরে। পৈত্রিক ভিটে বরিশালের পিরোজপুর। তবে, যদিও প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ বাংলাদেশের প্রায় পুরোটাই ঘুরেছেন, গেছেন বরিশালেও, যাওয়া হয়নি ঐ পিরোজপুরে। জন্ম থেকে এখন পর্যন্ত এই ঢাকা শহরেই। এখানেই বড় হওয়া, লেখাপড়া এবং লেখালিখির শুরু। লেখাপড়া করেছেন গভমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সমাজবিজ্ঞানে এম. এস. এস.। লেখালিখির শুরু, আরো অনেকের মতো, ছোটবেলায়। বাবা আহসান হাবীব বাংলা সাহিত্যের নামকরা কবি। বাসায় নানা বিষয়ের কত যে বই! আর বইপড়া কী যে মজার! এসব মিলিয়ে কোন সময় নিজেরও লেখার ইচ্ছা হলো, এতদিন পর ঠিক-ঠিক মনে নেই। তবে মনে আছে, ছড়া লেখেননি কিংবা কবিতা, শুরু করেছিলেন গল্প লিখেই। ছোটদের জন্য প্রথম লেখাটি ছাপা হয়েছিল তখনকার নামি পত্রিকা টাপুর টুপুর-এ, ’৭২ সালের জুলাই মাসে। তখন তিনি দশম শ্রেণির ছাত্র। তারপর ছোটদের জন্য আরো কিছু লেখা বেরিয়ে গেল, এদিক-ওদিক। এরপর ধীরে-ধীরে বড়দের জন্য লেখালিখিতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। তবে যখনই লিখেছেন ছোটদের জন্য, সেটা দারুণ এক লেখা হয়ে উঠেছে। ছোটবেলায় ডাকটিকিট জমানো ছিল প্রিয় শখ। ডাকটিকিটের বেশ ক’টি অ্যালবাম এখনো রয়ে গেছে সংগ্রহে। আর স্মৃতিতে রয়ে গেছে ঘুড়ি ওড়ানো ও মার্বেল খেলার ঝকমকে দিনগুলোর কথা। ক্রিকেট খেলতেন ভালো, ফুটবলও, আর, টেবিল টেনিস। বহু আগেই ওসব বাদ, ওসব ছেড়ে একসময় ঐ যে শুরু লেখালিখির, এখন শুধু সেটাই, ওটাই একটা খেলা, যখন ইচ্ছা খেলা যায়, একা-একা। বেড়াতে ভালোবাসেন। সময় আর পয়সা পেলেই বেরিয়ে পড়েন। একা নয় অবশ্য, সঙ্গে থাকে স্ত্রী কেয়া ও দু’সন্তান দিব্য ও দীপ্র। অবসরের সময়টুকু এই এদেরকে নিয়েই কেটে যায়।

ক্রেতার পর্যালোচনা:
শ্রেষ্ঠ কিশোরগল্প

সংশ্লিষ্ট বই