সন্তানের ভবিষ্যৎ

লেখক : ড. ইয়াদ কুনাইবি (হাফিজাহুল্লাহ) (অনুবাদ : আরশাদ আনসারী)

ক্যাটেগরি : ইসলামিক বই
In Stock
৳২০০ ২০% Off ৳২৫০
বেশি বিক্রিত বই
আমি হতে চাই  (সিরিজ ৬ খণ্ড)
আমি হতে.... ড. উম্মে....
৳৫১০
প্ল্যানেট বাবুল্যান্ড
প্ল্যানেট বাবুল্যান্ড শামা মেহনাজ....
৳৩২০ ৳৪০০
ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতি
ঘরে বসে.... মুনজেরিন শহীদ
৳৬০০ ৳৭৫০

সন্তান, সে তো আসমান থেকে পাওয়া। সন্তান, সে তো স্বর্গ থেকে আসা। সন্তান, সে তো স্বপ্ন দিয়ে বোনা সোনা-রঙা সোনালি ফসল। সন্তান পৃথিবীর সবচেয়ে সুখের সম্পদ। সন্তান চোখের শীতলতা, অন্তরের কোমল উষ্ণতা, হৃদয়ের গহীনে সযত্নে চাষ-করা এক টুকরো মুক্তো। সন্তান মানে বেঁচে থাকার শক্ত অবলম্বন। সন্তান মানে সারাদিন ঘামঝরা ভীষণ খাঁটুনির পর এক অনাবিল প্রশান্তি। সন্তান মানে শত ঘুটঘুটে অন্ধকারেও আলোর ঝলকানি। সন্তান মানে অর্থবহ সার্থক বেঁচে থাকা। সন্তান মানে সহস্র হতাশার ভিড়েও আশার ফোয়ারা। সন্তানই তো উত্তপ্ত মরুভূমিতে ছায়া দেয়। হাড়-কাঁপানো-শীতে উষ্ণতা জোগায়। হাসি, খুশি আর আনন্দে জীবন রাঙায়। জীবনের শেষ বেলায় চশমা হয়ে পথ দেখায়, লাঠি হয়ে ভার নেয়, বাহন হয়ে সবখানে নিয়ে বেড়ায়, মুখে তুলে খাইয়ে দেয় আবার যত্ন করে ঘুম পাড়ায়।

কিন্তু এতসব প্রাপ্তির তৃপ্তি পেতে সন্তানকে আগে ‘মানুষ’ বানাতে হয়, তিলে তিলে গড়ে তুলতে হয়, অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে নোঙর ফেলতে হয়। ওহির আলোয় আলোকিত করে আপনি আপনার সন্তানকে কীভাবে জ্বলজ্বলে উজ্জ্বল করে গড়ে তুলবেন, সন্তানকে কীভাবে পৌঁছে দেবেন আলোর ঠিকানায় সেজন্যই আমাদের এই সবুজ আয়োজন——সন্তানের ভবিষ্যৎ।

ড. ইয়াদ কুনাইবি (হাফিজাহুল্লাহ)  (অনুবাদ : আরশাদ আনসারী)

লেখকের জীবনী

ড. ইয়াদ কুনাইবি (হাফিজাহুল্লাহ) (অনুবাদ : আরশাদ আনসারী)

ফিলিস্তিনী বংশোদ্ভুত ড. ইয়াদ কুনাইবী বড়ো হয়েছেন জর্দানের রাজধানী আম্মানে। ছাত্রজীবন থেকে পড়াশোনায় মেধার স্বাক্ষর রাখার পাশাপাশি সাহিত্যাঙ্গনেও ছিল তার সপ্রিতভ পদচারণা। ১৯৯৮ সালে তিনি জর্দান ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ফার্মেসিতে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। কৃতিত্বের ধারা অব্যাহত রেখেই স্নাতোকত্তর শেষে ১৯৯৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত হিউস্টন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীদের গবেষনা সহকারী হিসেবে যোগদান করেন ‘pharmacology’ বিভাগে। ২০০৩ সালে এই বিভাগ থেকে প্রথম স্থান লাভ করে সুনামের সাথে PHD সম্পন্ন করেন। এর পরপরই বিশ্ববিখ্যাত টেক্সাস মেডিকেল সেন্টারে তৎকালীন সেরা চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের সাথে গবেষনামূলক কাজে অংশগ্রহনের বিরল সুযোগ লাভ করেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে নিজের প্রতিভার উজ্জল স্বাক্ষর রাখার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই তিনি মিশরের ইসলামী আন্দোলনের পথিকৃৎ ‘সাইয়্যিদ কুতুব শহীদের’ মাধ্যমে ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষার প্রতি ঝুকে পড়েন। আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রে যেমন তার বেশ কিছু গবেষনা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশংসা কুড়িয়েছে, তেমনই দ্বীনি দাওয়াতের ময়দানেও তিনি তার মেধা ও উম্মাহদরদি মানসিকতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন ছাত্রজীবন থেকেই। তিনি ও তার সঙ্গীগণ বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে মুসুল্লীদের মাঝে দ্বীনি দাওয়াত চালাতেন প্রথম দিকে। দ্বীনি দাওয়াতের পাশাপাশি তিনি ইলমে দ্বীনের একনিষ্ঠ ছাত্র হিসেবেও কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন। শাইখ আব্দুর রহমান বিন আলী আল-মাহমুদের নিকট হাফস বিন আ’সিম রহিমাহুল্লাহর সনদে ইলমুল কিরাআত শিক্ষা করেন। একনিষ্ঠ পাঠক হয়ে ওঠেন সালাফ থেকে নিয়ে সমকালীন বিশ্ববরেণ্য আলিমদের। আলিমদের ইলম ও সোহবতে তাফসীর, সীরাত, ফিকহ-সহ বিভিন্ন দ্বীনি শাস্ত্রে গভীর ব্যুৎপত্তি লাভ করেন তিনি। দেশের গণ্ডি পেড়িয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও তিনি মুসলিম-অমুসলিম সবার প্রতি দ্বীনের দাওয়াত অব্যাহত রাখেন। তার দাওয়াতী কার্যক্রমে ইসলামের পক্ষে ও ক্রুসেডারদের বিপক্ষে জোড়ালো বক্তব্য উঠে আসতে শুরু করে। যার ফলে ২০১৫ সাল থেকে এ-পর্যন্ত চারবার গ্রেফতার হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে দুই বছরেরও বেশি সময় নবী ইউসুফের পাঠশালায় ছিলেন তিনি। হামলা, মামলা ও বন্দি জীবনের ভয় আদর্শের পথ থেকে এক চুলও সরাতে পারেনি তাকে। রুখতে পারেনি দাওয়াতের ময়দানে তার পথচলা। আমরা আল্লাহর নিকট তার তার ক্ষুরধার লেখনী ও বক্তব্যের মাধ্যমে যেন উম্মাহ উপকৃত হতে পারে, সেই তাওফিক এবং তার নেক হায়াত ও সত্যের পথে অবিচলতা কামনা করছি।

ক্রেতার পর্যালোচনা:
সন্তানের ভবিষ্যৎ

সংশ্লিষ্ট বই