ফ্ল্যাপ
: সমাজবিজ্ঞানের মোড়কে ‘বস্তুবাদ’ গিলতে গিলতে, জীববিজ্ঞানের মোড়কে
‘বিবর্তনবাদ’ লজেন্স চুষতে চুষতে হতাশার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ভাবতে থাকি, ‘মার্ক্সবাদ’
কিংবা ‘লেলিনবাদ’-ই তাহলে একমাত্র আশা। এই সুযোগে ডেভিড হিউম এসে কানে কানে বলে যায়-
‘আরে ধুর, স্রষ্টা কী, আর ধর্মই-বা কী, বাদ দাও তো বাপু! এসবের ভিত্তি আছে নাকি? এসো
তোমাকে আলোর পথ দেখাচ্ছি।’ ব্যস, আমরাও চোখ বন্ধ করে আরাধ্য পথ হাতড়ে বেড়াই।
এই
হলো জাহেলিয়াতের রূপ। রূপ দেখলেও তার স্বরূপ দেখেছেন কখনো? সময় করে একটু ঘুরে আসুন
মুহাম্মদ আসাদের ‘ইসলাম অ্যাট দ্য ক্রস রোডস’ স্যামুয়েলস পি হান্টিংটনের ‘দ্য ক্ল্যাশ
অব সিভিলাইজেশন’ কিংবা প্যাট্টিক গ্লাইনের ‘গড : দ্য এভিডিয়েন্স’-এ। এসবে আপনি দেখবেন
ঈশ্বরের নামে বানানো মানুষের তৈরি মূর্তি আর ধর্মগ্রন্থের নামে বানানো নানান মিথোলজির
সঙ্গে বিজ্ঞানের তুমুল ঝগড়াতে নাস্তিক্যবাদের জন্ম হয়েছে। সে ঝগড়ায় ইসলাম ছিল অনুপস্থিত।
কিন্তু
হাল জামানার নাস্তিকতা মানেই ইসলামের বিরোধিতা। কারণ, নাস্তিক্যবাদের মূলে কুঠারাঘাত
করেছে ইসলাম। তারা আপনাকে জোর করে বোঝাতে চায়, মানুষের বানানো মূর্তির মতো আল্লাহ তায়ালাও
একজন ভিত্তিহীন কল্পিত স্রষ্টা। মিথ-পুরাণের মতো কুরআনও মানুষের লেখা মিথ; যেখানে আছে
অনেক ভুল। সাড়ে চোদ্দোশত বছর আগে আরব দেশের মুহাম্মাদ নামের একজন ব্যক্তির মনগড়া মতবাদ
‘ইসলাম’ আজকের দুনিয়ায় বড্ড সেকেলে, অচল জীবনদর্শন।
না,
কক্ষনো না। চলুন একবার ঘুরে আসি স্রষ্টা, কুরআন, ইসলাম আর নাস্তিক্যবাদের সংঘাত জগতে...